অভিজ্ঞতা

বালক-বালিকা

এলিফ্যান্ট রোড থেকে আঁগারগা যাচ্ছিলাম। আমার সামনের সিটে এক কাপল বসে ছিলো। মনে হয় ঈদের শপিং করে বাড়ি ফিরছে। ছেলেটার পায়ের উপর অনেক গুলো শপিংব্যাগ রাখা। তাই দেখে মেয়েটা বেশীর ভাগ ব্যাগ ছেলেটার কাছ থেকে নিয়ে মেয়েটার পায়ের উপর রাখলো।

কিন্তু ছেলেটা পর মূহুর্তেই মেয়েটার কাছ থেকে ব্যাগ গুলো নিয়ে আবার নিজের পায়ের উপর রাখলো। মেয়েটা নাছোড় বান্দা। ছেলেটার থেকে ব্যাগগুলো নিয়ে নিল। বুঝতে পারলাম, ছেলেটাকে মেয়েটা কষ্ট দিতে চাচ্ছে না।

অবশেষে ছেলেটা হার মেনে মেয়েটার কাছ থেকে ভারী ব্যাগগুলো নিয়ে হাল্কা ২/১টি ব্যাগ রাখতে দিলো। মেয়েটা ষ্মিত হেসে ছেলেটার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু ছেলেটা মেয়েটার চোখের দিকে বেশিক্ষন তাকাতে না পেরে অন্য দিকে চোখ সরিয়ে নিলো। তাকিয়ে রইলো চলন্ত বাসের জানালার দিকে।

আসলে ছেলেরা এমনি। ভালোবাসার মানুষটার কাছ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে দূরে তাকানোর ভান করে বুঝিয়ে দিতে চায়, ভেবো না আমি আছে। তোমারই পাশে, অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারায়।

আর মেয়েরা ভাবে, এই বুঝি ছেলেটা তাকে তাচ্ছিল্য করছে। অবহেলা করছে চরম নিষ্ঠুরতার সাথে। কিন্তু মেয়েদের জেনে রাখা ভালো, ছেলেদের ভালোবাসা প্রকাশ পায় দায়িত্ববোধে, অবহেলায় নয়।

০৪/০৪/২০২২, ০৬.৩৫ PM   

Shamim Rony

পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। খুব কাঠখোট্টা বিষয় নিয়ে বসবাস। চেষ্টা করি সমস্যার গভীরে যেয়ে ডুবুরীর মুক্তা আরোহনের মতোই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে আনতে। জানার আগ্রহ প্রবল। এখনো নিজেকে এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের ছাত্র বলেই মনে করি। টেকনোলজি ভালোবাসি, সেই সাথে ভ্রমন পিপাসুও বটে। টেক দুনিয়ার হাল-চাল, বিদেশী অনুবাদ ও বিদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতার রসদ সম্বল করেই কলম ধরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *