কোরবানীর ঈদ ও খাবার স্যালাইন
ভাইরে, ঈদ শেষ। গরম বাড়িয়া গিয়াছে। চারিদিকে অসুখ হইবার সম্ভাবনা। এমনিতেই দেশের মানুষ কোরবানির গরুর মাংস খাইয়া পেট খারাপে আক্রান্ত। এর পরেও যদি জ্বরে পরেন তাহা হইলে ঈদের ঘুরাঘুরিই মাটি। সুতরাং সাবধান হউন। উপদেশ নিন। জানিয়া রাখুন বাংলাদেশে থাকিলে কি কি উপায়ে আপনার দেহে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ছড়াইতে পারে।
পাবলিক টয়লেট – ইহার দরজার হাতল ও টয়লেট সীটে ই-কোলি সহ অন্যান্য জীবানু থাকিতে পারে।
ময়লা টাকা – প্রতি টাকায় প্রায় ২০০ রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে।
বাস/ট্রেনের সীট ও হাতল – প্রতি ছোঁয়ায় নিশ্চিত ১৫০ রকম জীবানুর আগমন।
মাছের বাজার – ২৫০ রকমের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস।
পাবলিক কম্পিউটার – রকম ভেদে ১১০ রকমের জীবানু।
হ্যান্ডশেক – ১০০ হইতে ২৮০ রকমের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া।
প্রেয়সীর লাস্যময়ী ঠোঁট – ভাইরে, কমপক্ষে ৩০০ রকমের ভাইরাস (৯৫% ভাগ ক্ষতিকর নয়)। অবশ্য ইহার মাধ্যমে টিউবারকোলোসিস, ঠান্ডা জ্বর, স্কারলেট ফিভার, এবং র্যাস দেখা দিতে পারে।
সুতরাং ভালো ভাবে হাত ধোয়া জারি রাখুন এবং দু’চিমটি লবন, গুড় ও পানি দ্বারা খাবার স্যালাইন বানাইয়া কাছে রাখুন। বলা তো যায় না কখন দরকার হইয়া পরে।
২০/০৫/২০২২, ১০.০০ AM